সুনামগঞ্জে ব’ন্যায় ১২০০ পুকুর প্লাবিত, ক্ষতি ৩ কোটি টাকা

সুনামগঞ্জে ব’ন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। রোববার (২২ মে) বিকেলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা’র ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জে’লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইস’লাম।
এদিকে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনো পানিব’ন্দি লক্ষাধিক মানুষ। তারা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। চারদিকে পানি আর পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
অন্যদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জে’লার ১২০০ পুকুর ডুবে গেছে। এতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। দোয়ারা বাজার ও ছাতক উপজে’লায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
জে’লা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ দিনের ভা’রি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে এসব পুকুর তলিয়ে যায়। মৎস্য বিভাগের হিসাব মতে, এ পর্যন্ত জে’লার ১২০০ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এসব পুকুরে বিভিন্ন জাতের বড় মাছ ও পোনা ছিল। টাকার অংকে ক্ষতির পরিমাণ তিন কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। এসব পুকুরে ১৫০ মেট্রিক টন মাছ ছিল। এর মধ্যে ৫০ লাখ পোনা ভেসে গেছে।
মাছচাষি রফিক মিয়া বলেন, ‘ব’ন্যায় মাছের খামা’র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঋণ করে খামা’রটি করেছিলাম। মাছ ভেসে যাওয়ায় এখন ঋণ পরিশোধ করবো কী’ভাবে, সংসারই বা চলবে কী’ভাবে?’
হেকিম মিয়া নামের আরেকজন বলেন, ‘অনেক ক’ষ্ট করে ঋণ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করেছিলাম। কিন্তু সব মাছ বানের পানিতে ভেসে গেছে। এখন আমি পথে বসে গেছি।’
সুনামগঞ্জে ব’ন্যায় ১২০০ পুকুর প্লাবিত, ক্ষতি ৩ কোটি টাকা
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজে’লা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মক’র্তা সীমা রানী বলেন, ব’ন্যায় জে’লার ১২০০ পুকুর ডুবে ১১০০ মাছচাষির ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশ’ঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৩৭ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানা গেছে।
জে’লা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে মানুষের ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে আরও দু-একদিন সময় লাগবে।